Russia Ukarine War রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ :

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ :

যুদ্ধ শুরুর তারিখ –

যুদ্ধ শুরু হয়েছিল 2022 সালের 24 শে ফেব্রুয়ারি। মূলত এই দিন ভোরবেলায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ঘোষণা করেছিলেন তিনি ইউক্রেনে এক বিশেষ সামরিক অভিযান করবেন এবং এই ভাবেই তিনি যুদ্ধের রণদামামা বাজিয়ে দেন।

ইউক্রেনের ধ্বংসের পরিমাণ

Russia Ukarine War রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউক্রেন । কারণ ইউক্রেন ছিল আক্রমণের শিকার। মূলত  শহর, গ্রাম, স্কুল, হাসপাতাল ও বসতবাড়ি সবকিছুই রাশিয়ান হামলায় ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। Kiyev , kharkiv, মারিওপোলর মতো শহর গুলি বিমান ও ক্ষেপণাস্ত হামলায় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে। ইউক্রেনের নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট, সামুদ্রিক বন্দর,কয়লা খনি সবকিছুই রাশিয়া দখল করে নিয়েছে। জাতিসংঘের হিসেবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় দশ হাজারের বেশি মানুষ সামরিক গোলাবর্ষণে মারা গেছেন। 

তছনছ হয়ে গেছে ইউক্রেনের অর্থনীতি । বন্দর, কারখানার, রাস্তাঘাট, দেশের GDP সবকিছুই  প্রায় শেষের দিকে। তবে ইউক্রেন  এখনো NATO , ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকা সাহায্যে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। 

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাহায্য

-রাশিয়ান অগ্রসনকে ঠেকাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা EU । অস্ত্র, টাকা, মানবিক সাহায্য, ক্ষতিপূরণ ও রাশিয়াকে সর্বত্রভাবে অসহযোগিতা নীতি গ্রহণ করে এই যুদ্ধে ইউক্রেন এর এর পক্ষ নিয়েছে। শুধুমাত্র তারা এইখানেই এই ক্ষান্ত হন নি বরং ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য পদ হওয়ার জন্য বড় ভূমিকা গ্রহণ করেছে। এই যুদ্ধে রাশিয়ার পাশে সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে জার্মানি ও ফ্রান্সকে। 

Russia Ukarine War রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ :

রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতি:

Russia Ukarine War রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ : রাশিয়া প্রথমে আক্রমণ করলেও এবং ইউক্রেনের চেয়ে অনেক বড় দেশ হলেও রাশিয়ার ক্ষতি কোন অংশে কম নয় । 2025 সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রায় ৮ লাখ সৈন্য মারা গিয়েছে।  এই যুদ্ধে রাশিয়া ট্যাংক, বিমান, সামরিক সরঞ্জাম সবকিছুই ধ্বংস হয়ে গেছে।. অর্থনৈতিকভাবেও রাশিয়া অনেক ক্ষতির শিকার হয়েছে । প্রায় ১৩০০ কোটি ডলারের আর্থিক নিষেধাজ্ঞা তার উপর চাপিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো ।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা

Russia Ukarine War রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ eমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধের সবচেয়ে বড় অংশীদার। এখনো পর্যন্ত প্রায় ৫০০ কোটি ডলারের বেশি সাহায্য দিয়েছে। যেখানে অস্ত্র, গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ, সামরিক সাহায্য ও সর্বোপরি আর্থিক সাহায্য সামিল রয়েছে। F16 যুদ্ধবিমান, হাইমাস ক্ষেপণাস্ত্র, Anti Tank guided missile প্রভৃতি অত্যাধুনিক অস্ত্র আমেরিকা ইউক্রেন কে সামরিক সাহায্য হিসেবে দিয়েছে। 

তবে মার্কিন নির্বাচনে বাইডনের পরাজয় ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হাওয়াই এই যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধ শেষ করতে। তবে যুদ্ধের দুই প্রধান অংশীদার ইউক্রেন ও রাশিয়া এই যুদ্ধে হেরে যুদ্ধ শেষ করতে রাজি নন। অন্যদিকে আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ইউক্রেনের কাছ থেকে যুদ্ধের আর্থিক সাহায্য ফেরত চাওয়াই এই যুদ্ধের মোড় পুরোপুরি ঘুরে গেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top